হুন্ডি বা অবৈধভাবে নয়, প্রবাসীদের অর্থ দেশে বৈধভাবে যেন আসে সে লক্ষ্যে প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে চালু করা হয় রেমিট্যান্সের বিপরীতে নগদ অর্থ প্রদান। বেশ সাড়া ফেলে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। তবে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের দুই শতাংশ হারে যে পরিমাণ নগদ সহায়তা প্রদান করা হয় তার প্রতিবেদন যথারীতি প্রদান করে না তফসিলি ব্যাংকগুলো। এতে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এবার ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বৈধ উপায়ে প্রেরিত ওয়েজ আর্নারস রেমিট্যান্সের বিপরীতে দুই শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানের সার্কুলার গত ৬ আগস্ট ২০১৯ অনুযায়ী পরিশোধিত অর্থের বিবরণী মাসিক ভিত্তিতে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। প্রবাসীদের তথ্য ডাটাবেস আকারে সংরক্ষণ এবং ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত ফরম অনুসারে তথ্য দ্রুততার সঙ্গে প্রেরণের জন্য অনলাইন ফরম্যাট আরআইটিএস প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৮ মার্চ দেয়া এক সার্কুলারে আরো বলা হয়, দুই শতাংশ প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদান বাবদ পরিশোধিত অর্থের তথ্যসহ রেমিট্যান্স সংক্রান্ত তথ্যের বিবরণী মাসিক ভিত্তিতে তিনটি শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে বৈদেশিক মুদ্রা নীতিবিভাগে প্রেরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-আরআইটিএস অনুযায়ী মাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
আরআইটিএসের যেসব কলামে তথ্য প্রদানের জন্য ব্যাংকসমূহ এ মুহূর্তে সক্ষম নয়, সে বিষয়ে তথ্য প্রদানের জন্য অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া ১ জুলাই ২০১৯ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত সময়ের তথ্য আরআইটিএস অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২১ এর মধ্যে দাখিল করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসীরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার (১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ১৩৮ কোটি টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে আসা রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার।