আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। নমনীয় এই ঋণে সুদের সর্বোচ্চ হার শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। কোনো কোনো প্রকল্পে নামমাত্র শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধের সুযোগ থাকছে। মোট ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্পে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। রোববার ঢাকায় এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেউন নিজ নিজ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। পরিকল্পনা কমিশনে ইআরডি কার্যালয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে দু’দেশের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তির আওতায় চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে ১০ কোটি ডলার দেওয়া হবে। বাকি অর্থের মধ্যে সড়ক পরিবহন করপোরেশনের বাস্তবায়নাধীন এসি বাস ক্রয় প্রকল্পে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার, ঢাকা ওয়াসার আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণে আড়াই কোটি ডলার দেওয়া হতে পারে। অবশ্য এজন্য পৃথক চুক্তি সই করার প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সড়ক এবং রেল সেতু নির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশকে নমনীয় সুদের হারে ঋণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ৪৭ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তায় ১৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। আরও প্রায় ৬৭ কোটি ডলার ব্যয়ের ৮টি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ডলারের নমনীয় ঋণ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই অর্থ উন্নয়ন অংশীদারদের দেওয়া ঋণ সহায়তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।