হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ‘অন্যতম হোতা’ সৈকত মন্ডল ও সহযোগী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২২ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের টংগী থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার একটি দল।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
২০ অক্টোবর বুধবার হামলার ওই ঘটনায় উজ্জ্বল হাসান (২১) ও আল আমিন (২২) নামের দুই তরুণ গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বাড়াতে ফেসবুকে পোস্ট করে হিন্দুপল্লিতে হামলার আগে উগ্রবাদীদের উত্তেজিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দুজনের বিরুদ্ধে নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ।
এছাড়াও অন্য আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর অভিযোগে অভিযুক্ত পরিতোষ সরকার (১৯)। তাকে সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে জয়পুরহাট জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ফেসবুকে উসকানিমূলক মন্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করেন পরিতোষ।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উগ্রবাদীরা। এ ঘটনায় গ্রামটির ১৫টি পরিবারের ২১টি বাড়ির সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। হামলাকারীরা গরু-ছাগল, অলংকার, নগদ টাকাও নিয়ে গেছেন বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা তিনটি মামলায় এ পর্যন্ত ৫৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।