দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে । স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ অক্টোবর) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয় বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বে সিনপো থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বিশ্লেষণ করে দেখছে বলেও জানানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনহাপ বার্তা সংস্থা বলছে, সর্বশেষ ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে জেসিএস বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। সিনপো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌ শিপইয়ার্ড। এর আগেও উত্তর কোরিয়া এই বন্দর ব্যবহার করে সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে দেশটির বিরুদ্ধে। সেপ্টেম্বর মাসেও পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
পরে আবারও উত্তর কোরিয়া স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। যদিও সেসময় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে জানান, পিয়ংইয়ংয়ের নিজের আত্মরক্ষার্থে এরকম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অধিকার রয়েছে। এটা কেউ প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।