বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী (মুরাদ হাসান) ‘রাষ্ট্রধর্ম মানি না’ বলে সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার উচিত পদত্যাগ করা। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের উচিৎ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই প্রতিমন্ত্রীকে দল থেকে বহিস্কার করা।
১৮ অক্টোবর সোমবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাপা চেয়ারম্যান।
জিএম কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের মনের আশা পূরণ করতেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আবার জননন্দিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদকে নিয়ে কটূক্তি করে ওই প্রতিমন্ত্রী জঘন্য কাজ করেছেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সুনাম অর্জনকারী আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিয়ে কটূক্তি করে গর্হিত কাজ করেছেন। অবশ্যই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশে দুর্নীতি এখন নীতি হয়ে গেছে দাবি করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। কেউ দুর্নীতি না করলে, তাকে সবাই পাগল মনে করে। যারা ঘুষ খায়, পণ্যে ভেজাল দেয়, কলো টাকার মালিক তারাই রাজনীতিতে এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিদেশে বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসা খুলে বিলাসী জীবন যাপন করছে। কিন্তু, দেশের বেশির ভাগ মানুষই জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। অল্প টাকার জন্যও অনেকেই চিকিৎসা করাতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ভালো মানুষজন রাজনীতিতে টিকতে পারছে না। ভালো মানুষ রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুচ্ছফা সরকার, মোজাম্মেল হক, ছাত্র সমাজ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
