ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা হয়।
যশোরের বাহাদুরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- যশোর সদরের হালসা গ্রামের আবু মুছা ও তার ছেলে বিপ্লব হোসেন, স্ত্রী নুরনাহার বেগম, মেয়ে নওশিন শারমিলি বিভা, শহরের পুলিশ লাইন পাওয়ার হাউজপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে ফারুক হাসান হাওলাদার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।
অভিযোগে জানা গেছে, বিপ্লব হোসেন যবিপ্রবির সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার সঙ্গে সুরাইয়া ইয়াসমিনের পরিচয় হওয়ার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিপ্লব তার সরলতার সুযোগে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিপ্লব চাকরি বাঁচানোর জন্য ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর ইয়াসমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে সংসারের যাবতীয় মালামাল ও দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নানা অজুহাতে ইয়াসমিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে বিপ্লব। এরই মধ্যে ইয়াসমিন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি বিপ্লব মেনে নিতে না পেরে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। সর্বশেষ বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।