জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ যুবলীগের উদ্যোগে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রিয় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও চলমান আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন- রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন-বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমাদের প্রতিটি সংখ্যালঘু ভাইয়েরা শেখ রাসেলের প্রতীক হিসাবে আজকে আত্মপ্রকাশ করেছে। শেখ রাসেলের নামকরণের মর্যাদা রাখতে আওয়ামী যুবলীগ সাম্প্রদায়িক শক্তির অমানবিক আগ্রাসন, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত। মানুষের জীবন যাতে সুন্দর ও শান্তিময় হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। তাই আমি ঘোষণা করছি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা প্রস্তুত। উগ্রবাদীদের থাবায় তাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যেটা ঠিক শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের মত আরও একটা লজ্জা ও ব্যর্থতার বিষয় এবং মানবতার পরাজয় হিসাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। সুতরাং তাদের অধিকার রক্ষা করা আমাদের আদর্শিক এবং নৈতিক দায়িত্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন আমার সহপাঠী, আমার খেলার বন্ধু। আমরা যখনই ঢাকায় আসতাম, তখনই শেখ রাসেলের খেলাধূলাসহ বিভিন্নভাবে সময় কাটাতাম। খেলার প্রতি রাসেলের প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। অনেক সময় আমাদেরকে বাসা থেকে জোর করেই খেলার মাঠে নিয়ে যেত। শেখ রাসেল, শেখ জুয়েল, আরিফ সেরনিয়াবাত ও আমি ছিলাম সমবয়সী। আজকে রাসেল বেঁচে থাকলে অবশ্যই তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতেন।
তিনি আরও বলেন- ’৭৫ এর বেদনা আর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেভাবে আমাদের নেত্রী শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। ব্যক্তি থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যক্তি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না করতে পারলে কোনো কিছু করার থাকবে না। আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে হবে, তাহলেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো, যেকোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করতে পারবো। যারা মনে করেছিল ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কিন্তু আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ছিল বলেই ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সেই শক্তিশালী সংগঠনের কারণেই আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না, তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যুবলীগের তিনটি কমিটিতে ১নং সদস্য ছিলাম। এই যে আমরা যারা পদ পাই, মনে রাখতে হবে এক একটা পদ শেখ হাসিনার উপহার। এই সম্মানকে মনে রেখেই আপনাদেরকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আজকে আমরা এখানে অনেক দলের কথা বলি। এই দল বলে লাভ হবে না, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ও কিন্তু দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল না। সেই সময়ও রাজাকার ছিল। সেই সময়ও অনেক বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যেন স্বাধীনতার বিপক্ষের দলগুলো যেন ষড়যন্ত্র করে দেশের ক্ষতি করতে না পারে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে কথা দিয়েছিলাম মুজিব শতবর্ষে আমাদের বাংলাদেশে প্রিয় নেত্রী গৃহহীনদের গৃহ দেওয়ার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা যুবলীগের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশে গৃহহীন ও অসহায় মানুষকে গৃহদান করবো। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে ১০ জন অসহায় গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়েছিলাম। আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে আরও ২২ জন অসহায় ও গৃহহীন মানুষের হাতে ২২টি ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও আমি নেত্রীকে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পালন করে যাবো।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ রাসেলকে নিয়ে যেমন ভাবতেন, সেই ভাবনাটা যুবলীগের প্রত্যেকটা নেতা কর্মীর মধ্যে আসুক। তাহলে আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো। আমরা কথায় কথায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ তারা করবে, কিন্তু আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যুবলীগের নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৫৮ বছর। কিন্তু শেখ রাসেল আমাদের কাছে চির সবুজ, অমর শিশু, শেখ রাসেলের জন্মদিনে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উচিত অন্তত একজন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের দায়িত্ব নেওয়া। তাহলেই শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন সার্থক হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, যেকোনো মূল্যে আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। বাংলাদেশ কোনো ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদীদের আস্তানা হতে পারে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডাঃ খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আলম মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, মোঃ আতাউর রহমান উজ্জল, মির্জা মোঃ নাসিউল আলম শুভ্র, মোঃ রাজু আহমেদ, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, মোঃ মাইদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, মোঃ আবদুর রহমান জীবন, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, এ্যাড. মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী রিগ্যান, নির্বাহী সদস্য এ কে এম মহিউদ্দিন খোকা মজুমদার, এড. মোঃ নাজমুল হুদা নাহিদ, সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, মোঃ হুমায়ুন কবির, এড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, শেখ মাতিন মুসাব্বির সাব্বির, প্রফেসর ড. মোঃ আরশেদ আলী আশিক, আবুল কালাম আজাদ, শাম্মি খান, মোঃ শহিদুল ইসলাম লাকি, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, মোঃ মুজিবুর রহমান, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ইঞ্জি. মোঃ আসাদুল্লাহ তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মোঃ মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ, মোঃ তারিক আল মামুন, ইঞ্জি. মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকার, এ বি এম আরিফ হোসেন, মোঃ বজলুর করিম মীর, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব, এড. শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম, এড. মোঃ সাজেদুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।