করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারও বাতিল করা হয়েছে বৃটেনের নববর্ষ উৎসব। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাতিল করা হলো উৎসবটি। যার ফলে লন্ডন শহরের টেমস নদীর তীরে বড় পরিসরে আতশবাজির মাধ্যমে দেশটির মানুষ ২০২১-কে বিদায়, আর নতুন বছর ২০২২-কে বরণ করতে পারবে না। এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকের মাঝে হতাশা দেখা দেয়। দেশটিতে প্রতিবছর নববর্ষ উৎসবের জন্য ৩১শে ডিসেম্বর রাতে শহরের টেমস নদীর তীরে লন্ডন আইদর আতশবাজি দেখতে জড়ো হতেন বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের লক্ষ লক্ষ মানুষ। টিভিতে আরো ১২ মিলিয়ন মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া নববর্ষ উৎসবের রাতে প্রতি বছর ১২ হাজারের উপরে আতশবাজি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে টেমস নদীর তীরে নববর্ষ উৎসব এবারও বাতিল করে বিকল্প উপায়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে দেশটিতে। লন্ডন মেয়রের একজন মুখপাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে বলেছেন, যথাসময়ে নববর্ষ উদযাপনের বিস্তারিত জানানো হবে।
তার ক্যালেন্ডারে কিছু সমস্যা হওয়ায় গ্রেগরিয়ান তা সংস্কার করেন। ১৭৫৬ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় বৃটেনে। এরপর থেকে প্রতি বছর আতশবাজির ঝলকানি আর আলোক উৎসবের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয়া হতো নতুন বছরকে। কিন্তু করোনার থাবায় বিপর্যস্ত বৃটেন আগের মতো আর কোন ভুল করে তার মাশুল দিতে চাচ্ছে না। ফলে আগে ভাগে নববর্ষ উৎসব বাতিল করে বিকল্প উপায়ে হাঁটতে যাচ্ছে।