১২ অক্টোবর ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা চ্যালেঞ্জারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১০ সালে ব্রেন ক্যান্সারের কাছে হেরে গিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি। অভিনেতা চ্যালেঞ্জার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে অভিনয়ে আসেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি দর্শকদের মন জয় করে নেন দক্ষ অভিনয় দিয়ে অল্প সময়ে ।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৯ সালে ঢাকার খিলগাঁওয়ে । তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার বড়। তার ছোট বোন মনিরা মিঠুও ছোট পর্দায় জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী।
তার ডাক নাম সাদেক, প্রকৃত নাম ছিল এএসএম তোফাজ্জল হোসেন। তাকে চ্যালেঞ্জার নামটি দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনা-লেখা নাটক ও সিনেমায়। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘হাবলংগের বাজারে’ নাটক দিয়ে চ্যালেঞ্জারের অভিনয়ে অভিষেক হয়। এছাড়া একই পরিচালকের ‘দুই দুয়ারী’ সিনেমা দিয়েও বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয় তার।
দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে সমান জনপ্রিয় ছিলেন চ্যালেঞ্জার। যেকোনো চরিত্রে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। ন্যাচারাল অভিনয় করার ক্ষমতা ছিল তার। ধনী, গরিব, নাপিত, মন্ত্রী যেকোনো চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারতেন এই অভিনেতা।
হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত চ্যালেঞ্জার অভিনীত সিনেমাগুলো হচ্ছে- দুই দুয়ারী, শ্যামল ছায়া, নয় নম্বর বিপদ সংকেত ও দারুচিনি দ্বীপ।
ভাইয়ের মৃত্যুতে তাকে স্মরণ করেছেন বোন মনিরা মিঠু। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ভাইজান…আজ আপনার মৃত্যুবার্ষিকী…ও ভাইজান, আমিও ঠিক আপনার মতোই ভয়ংকরভাবে ট্রাকের সঙ্গে গাড়ি অ্যাকসিডেন্টের শিকার হয়েছিলাম! তাই তো ভাবি বলেন, মিঠু, তোমার সাথে সাদিকের শেষটা যেন না মিলে। কী জানি ভাইজান, আপনি বা কেমন আছেন, আমিই বা কেমন আছি…। আল্লাহ মহান নিশ্চয়ই তিনি আপনাকে আর কষ্ট দেবেন না। ’