আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর রাজধানীতে পূজা হচ্ছে ২৩৮টি, যা গতবারের চেয়ে চারটি বেশি। দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সপ্তমী, পরশু বুধবার (১৩ অক্টোবর) অষ্টমী, বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) নবমী এবং শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির অন্যতম প্রাচীন এই শারদোৎসব। এর আগে গতকাল রোববার সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর যাবেন দোলায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়াও পূজা উপলক্ষে মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা এবং বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।