শাহাজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে আরটিপিসিআর বুথগুলোতে। অল্প জায়গায় শত শত লোকের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কতৃপক্ষকে। সময়মত রিপোর্ট না পাওয়ায় ফ্লাইট মিস করছেন অনেকে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই না থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও সঙ্কিত জরুরি সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা।
উড়োজাহাজে ওঠার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করাতে হবে, এমন শর্ত পূরণে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীরা। সিরিয়াল নেয়া, নির্ধারিত ফরম পূরণসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার জন্য বিমানবন্দরের উত্তরপূর্ব অংশে মানুষের ভিড়। যদিও কাগজে কলমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত আছে, তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
অনুমোদিত ৬ টি কোম্পানির ১২টি বুথে নমুনা নেয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি থাকে বন্ধ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল আহসান জানালেন, সবগুলো চালু থাকলেও জায়গা স্বল্পতার কারণে পরস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, এমন আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল তারা। তার মতে, নির্ধারিত সময়ের ৮ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসলে আরটিপিসিআর জটিলতা আরও সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমান বন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব বসাতে পারলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।