নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দরকার হবে নতুন কমিশন গঠন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো বাকি দুই বছরের বেশি সময়। ২০২৩ সালের শেষদিকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরই মধ্যে এ দুই ইস্যুতে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা এবং পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।
কোন প্রক্রিয়ায় কাদের নিয়ে নতুন ইসি গঠন হবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরব। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত জানতে চাইলে বাংলানিউজকে রাশেদ খান মেনন উল্লেখিত কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এর আগেও যখন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রশ্ন উঠেছে আমরা বলেছি, সংবিধানের ১১৮ এবং ১১৯ ধারায় যে আইন প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে, তার ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত। সে আইন এখন পর্যন্ত প্রণীত হয়নি এবং সম্ভাবনাও কম। সুতরাং সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে প্রক্রিয়া রয়েছে, সেটা চালু থাকুক, এত তাড়াতাড়ি সময়ে আইন করা যাবে কিনা জানিনা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন জরুরি বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা বারবার বলার পরেও এই আইন হয়নি। এ আইন হলে সুবিধা হত, মানুষ নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ করতেন না। তাই বর্তমানে সার্চ কমিটির বিকল্প আছে বলে মনে করছি না। নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রবীণ এ বামপন্থী নেতা আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আমরা ৩৩ দফা নির্বাচনী সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেই সংস্কার প্রস্তাবের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়েছে, আবার অনেক কিছুই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা মনে করি সেই প্রস্তাবনার আলোকে সর্বস্তরে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপরে প্রশাসনের আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ, অর্থের নিয়ন্ত্রণ রোধ করে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনগুলো নিরপেক্ষ করার ব্যবস্থা করলে, নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।