মাস শেষে একজন নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যা বেতন পান, বাজারেই শেষ হয় তার বড় অংশ। দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর ব্যয় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মানুষের কিন্তু বাড়ছে না আয়। আর অন্যদিকে বাজার জুড়েই হাঁসফাঁস, অস্বস্তি। চাল, ডাল, তেল; দাম বাড়েনি এমন পণ্যই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। করোনা সংকটকালীন এই দুঃসময়ে মানুষের হাতে টাকা নেই। কিন্তু হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম। সব মিলিয়ে নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির এখন চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা।
একটি দুটি করে ধীরে ধীরে বাড়ছে সব ধরনের পণ্যের দাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেই কোনো প্রতিষ্ঠানেরই। ধরা যাক চালের কথা। এক কেজি মোটা চাল কিনতে এখনও ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। শুল্ক সুবিধা এবং পর্যাপ্ত আমদানির পরও দামে সেই সুফল মেলেনি। মোটা চালের ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এই দাম সৃষ্টি করছে অস্বস্তি।
আর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ভোজ্যতেল। এক বছর আগের চেয়ে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ। পায়তারা চলছে আরও দাম বাড়ানোর। বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির। তাই দাম কমিয়ে আনার কোনো লক্ষণ নেই। স্বস্তি নেই আটা এবং ময়দার দামেও। হঠাৎ করেই অতিপ্রয়োজনীয় এই দুই ভোজ্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে অন্তত ১০ ভাগ।
আর সরকারম মূল্য নির্ধারণ করার পর থেকে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে চিনি। এই পণ্যের এখন পর্যাপ্ত মজুদ নেই, এই অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে দাম। ৭০ টাকার কেজির প্যাকেটজাত চিনির দাম এখন ৯০ টাকা। পেঁয়াজের দামেও এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এক কেজি দেশি পেঁয়াজের জন্য এখন গুনতে হবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। পাকিস্তানি জাতের মুরগির দামেও স্বস্তি নেই। পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির ডিমের দামও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা। তবে সরকারি খাতায় মূল্যস্ফীতির হার সহণীয়।