ই-কমার্স প্রতারণায় অভিযুক্ত কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে বা পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (পিএসও) ফস্টার পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। আর তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফস্টারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ। জানা গেছে, গত মাসের ৯ তারিখ প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র মতে, ফস্টারের বড় গ্রাহক প্রতিষ্ঠান কিউকম। প্রতারণার দায়ে গত রবিবার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রির নামে অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন অভিযোগে এর আগে গত জুনে যে ১০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকগুলো কার্ড লেনদেন স্থগিত করে তার মধ্যে কিউকম অন্যতম। গ্রেফতারের পর রিপন মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। এছাড়া ফস্টারের কাছে ৩৯৭ কোটি টাকা আছে।
অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পরও ফস্টারের লেনদেন অব্যাহত আছে বলে দাবি করেছেন ফস্টার পেমেন্টের কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আল বেরুনী। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য বেশ আগেই তারা আবেদন করেন। এখনো অনুমোদন না পেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ভিত্তিতে লেনদেন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেশনস-২০১৪-এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি। আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে পোর্টোনিক্স লিমিটেড।