চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের ম্যাচেই সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে শেষ মুহুর্তে হেরে বসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সে ম্যাচের শেষদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তুলে ইংলিশ মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডকে নামিয়েছিলেন ইউনাইটেড কোচ। ইউনাইটেডের হারের পেছনে এই খেলোয়াড় পরিবর্তনের ভূমিকা ছিল অনেক, লিনগার্ডের ভুলেই জয়সূচক গোল পায় সুইস ক্লাবটি।
বুধবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলো অতিথিরাই। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যাওয়া ম্যাচ কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সেটা হতে দেবেন কেন? বহুদিন পর ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে নামার অভিজ্ঞতাটাকে অসাধারণভাবে রাঙিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পুরো তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। তার শেষ মুহূর্তের গোলেই ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গোলে সহায়তা ছিল জেসি লিনগার্ডের! এদিন সাবেক সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াসকে সরিয়ে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন রোনালদো। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলে ফেলেছেন ৯০০ ম্যাচ।
ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ভিয়ারিয়ালই। ৫৩ মিনিটে ডাচ উইঙ্গার আরনট দানজুমার সহায়তায় গোল করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পাকো আলসাসের। এর ঠিক সাত মিনিট পরেই সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেসের সহায়তায় দলকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক অ্যালেক্স তেয়েস। ড্র-কেই যখন মনে হচ্ছিল নিয়তি, তখনই মঞ্চে আবির্ভাব রোনালদোর। এ ম্যাচে আর রোনালদোকে আগে আগে উঠিয়ে নেওয়ার ভুল করেননি সুলশার। বাঁ প্রান্ত থেকে লেফটব্যাক তেয়েসের এক ক্রস হেড করে লিনগার্ডের উদ্দেশ্যে নামিয়ে দেন রোনালদো। গোলকিপার রুয়িকে এগিয়ে আসতে দেখে আবারও রোনালদোকে পাস দেন লিনগার্ড। এরপর গোল দেওয়ার কাজটা রোনালদোই করেন।