চট্টগ্রাম মহানগরীর নালা-নর্দমাগুলো এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে আগ্রাবাদে নির্মাণ ও সংস্কারাধীন নালায় পা ফসকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯)। এর আগে গত ২৫ আগস্ট বৃষ্টির মধ্যে নগরীর মুরাদপুর মোড়ে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমদ নামে এক সবজি বিক্রেতা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও গত এক মাসেও তার সন্ধান মেলেনি। এদিকে গত এক বছরে নালায় পড়ে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়। সর্বশেষ সোমবার রাত ৩টা ১০ মিনিটে নগরীর আগ্রাবাদের মাজার গেইটসংলগ্ন নালায় পড়ে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭০ ফুট গভীরে নালায় আবর্জনার ভেতরে আটকা পড়েছিল ঐ ছাত্রীর মৃতদেহ। ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের দুটি এক্সকেভেটর দিয়ে প্রায় এক টন আবর্জনা অপসারণের পর ছাত্রীটির মৃতদেহের সন্ধান মিলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত ১০টায় নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কে জেক্স মার্কেটের সামনে পা পিচলে নালায় পড়ে যান চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। তাদের বাসা নগরীর হালিশহর থানার বড়পোল এলাকায় শুক্কুর মেম্বারের বাড়িতে। প্রবাসী বাবা মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সেহেরীন ছিল সবার বড়। সেহেরীন তার মামা জাকির হোসেনের সঙ্গে আগ্রাবাদ শাহজালাল চশমা মার্কেটে চশমা কিনতে গিয়ে ফুটপাতের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হন।