জামাতার সঙ্গে শ্বশুরের দ্বন্দ্বের জের ধরে দেশীয় অস্ত্র টেঁটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে। ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার শিবপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাহতাবুর রহমান থানায় অভিযোগ করেন তার মেয়েকে জামাতা আটকে রেখে নির্যাতন করছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়নি। এ অবস্থায় শনিবার জামাতা ও শ্বশুরের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নারীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মোতাক্কির ওরফে মহসিন, মাহতাবুর রহমান, রোকন মিয়া, জুয়েল, মুবাশ্বির, টিটু মিয়া, জনি মিয়া, কিরন মিয়া, সামিউল, মুছা মিয়া, রেজ্জাক, শিমুল বেগম, ফাতেমা বেগম, এবাদুর, লতিবুরকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় তন্ময় হাসান ও মহসিনসহ বেশ কয়েকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, জামাই ও শ্বশুরের মধ্যে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শুক্রবার রাতে শ্বশুর অভিযোগ করেন তার মেয়েকে আটকে রেখে স্বামী নির্যাতন করছেন। কিন্তু আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাইনি। উল্টো মেয়ে বলছে সে স্বামীকে ছেড়ে যাবে না। অভিযোগ মিথ্যা। তাদের বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।