হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হল প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর অবশেষে করোনা টেস্ট করার ল্যাব। শনিবার রাতে ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়। তবে বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা টেস্ট এখনও শুরু হয়নি।
ঢাকা বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রবাসীদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার যাত্রা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট করানোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা না থাকায় আমিরাতে ফিরতে পারছিলেন না প্রবাসীরা। তবে কয়েকদফা পেছানোর পর অবশেষে শনিবার ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান বলেন, শনিবারই বিমানবন্দরের ভেতরে ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দুটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠিত হয়েছে, তারাই গোটা প্রক্রিয়া দেখছেন। এছাড়াও কবে থেকে ল্যাবগুলোতে নমুনা নেওয়া শুরু হবে তাও কমিটির লোকজন বলতে পারবেন।
এর আগে বুধবার ল্যাব তৈরির কাজ আংশিক সম্পন্ন করেই সেখানে টেস্ট করিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬ জনকে দুবাই পাঠানো হয়েছে। এখন পুরোদমে পরীক্ষা শুরুর পালা।
করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপনের যে ছয় প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয় সে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
আমিরাত বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগাযোগ শুরু করলেও এর জন্য শর্ত জুড়ে দেয়। আমিরাতের দেওয়া শর্তের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটের ৬ ঘণ্টার মধ্যে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট করে ফল নেগেটিভ আসতে হবে। এছাড়াও আমিরাতে প্রবেশ করার পর আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
আমিরাতের দেওয়া ৬ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার শর্তের জন্য বাংলাদেশে আটকে যান প্রায় ৭ হাজার প্রবাসী। ল্যাব স্থাপনের ফলে তারা শিগগিরই দেশটিতে যেতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।