প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৩ জন, নারী ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৮২৫ জনের।
এছাড়া শনিবার (০৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৯ লাখ দুই হাজার ৯৪৮ জন। সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি চলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৯৮৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬১ হাজার ৩৫৪ জন, নারী ৩৯ হাজার ৬২৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মোট টিকা নেওয়া ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ লাখ ৫০ হাজার ২৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাত লাখ ৮৬ হাজার ২৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগের তিন লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৫ জন, রংপুর বিভাগের তিন লাখ ৩৬ হাজার ১২৯ জন, খুলনা বিভাগের চার লাখ ৭০ হাজার ৪৬৪ জন, বরিশাল বিভাগের এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৫ জন এবং সিলেট বিভাগের দুই লাখ ১৫ হাজার ১৭৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।