আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের নির্ঘুম রাত কাটছে। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রচারণা ততই তীব্র হচ্ছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এক জন মাত্র প্রার্থী রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী না দেওয়ায় ৩৩ ইউনিয়নেই নৌকার প্রধান প্রতিপক্ষ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। ফলে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ‘স্নায়ুচাপ’ বাড়ছে। ঘটছে সহিংসতার মতো ঘটনা। দিঘলিয়া উপজেলা ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দায়েরকৃত মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পালটা মামলার প্রস্তুতিও চলছে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ থেকেও। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউপি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে খুলনার পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ১৫৬ জন। এসব ইউনিয়নের ৩০৬টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৪৮১ জন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খুলনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এম. মাজহারুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থানীয় সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এখানে প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে কোনোভাবেই বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। সরকারেরও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।