আফগানিস্তানে নারীদের সব ধরনের খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। এমতাবস্থায় দেশটির নারী ফুটবল দলের সদস্য ও কোচিং স্টাফরা তাদের পরিবারসহ পাকিস্তানে চলে গেছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে বরণ করে নিয়েছে পাকিস্তান। খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা ও বিবিসি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর তথ্যমতে, বৈধ ভিসা ও কাগজপত্রসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তোর্খাম সীমান্ত দিয়ে আফগান নারী ফুটবলাররা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।
এক টুইট বার্তায় ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আফগান নারী ফুটবল দলকে স্বাগত জানাই। তারা আফগানিস্তান থেকে তোর্খাম সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। সবার কাছেই আফগানিস্তানের বৈধ পাসপোর্ট ও পাকিস্তানি ভিসা ছিল। তাদেরকে রিসিভ করেছে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা নওমান নাদিম।’ তবে এটা এখনো অস্পষ্ট যে, ঠিক কতজন পাকিস্তানে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন। যাইহোক, দ্য ডন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফগান নারী ফুটবলাররা জরুরি মানবিক ভিসা পেয়েছেন। এই বহরটিতে রয়েছেন আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও অনুর্ধ্ব-১৮ নারী দলের সদস্যরা।
দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গত মাসেই পরিবারসহ নারী ফুটবল দলের সদস্য ও কোচিং স্টাফরা আফগানিস্তান ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার কারণে তারা আর যেতে পারেনি, আটকা পড়ে যায়। লন্ডন ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এনজিও ফুটবল ফর পিসের দূত সরদার নাভিদ হায়দার বলেন, তাদের উদ্ধারের জন্য আমি ইংল্যান্ড ভিত্তিক অন্য আরেকটি এনজিও থেকে অনুরোধ পাই। এর পরই আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বরাবর চিঠি লিখি। তিনিই মেয়েদের পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সব মিলিয়ে ৭৫ জনের অধিক মানুষ উত্তরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। বুধবার তারা লাহোরে পৌঁছান। সেখানে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। বাকি প্রক্রিয়া এখানেই সম্পন্ন হবে। এরপর নারী ফুটবলাররা কাতারের দোহায় যাবেন বলে জানা গেছে।