মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। পাঁচ মাসব্যাপী ১০ একর ঢিবিতে খনন কাজে ৮০০ থেকে ১২০০ বছরের প্রাচীন বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিলেছে বলে জানিয়েছে খননকারী প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’।
বুধবার (৩ মার্চ) দিনব্যাপী এসব প্রত্নখনন কার্যক্রম ও রঘুরামপুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। খনন কার্যক্রম ও আবিষ্কারের বিষয়ে ঐতিহ্য অন্বেষণ-এর বিক্রমপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কর্মসূচির গবেষণা সহযোগী ড. মাহবুবুল আলম জাগো নিউজকে জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ মাসব্যাপী প্রত্নখননে ৮০০ থেকে ১২০০ বছরের প্রাচীন দুটি অষ্টকোণাকৃতির স্তূপ পাওয়া গেছে। স্তূপটির কেন্দ্রে বিশেষ ধরনের একটি ‘স্মারক কুঠুরি’ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এটি একটি দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার। ওই স্মারক কুঠুরিতে গৌতম বুদ্ধ বা তার গুরুত্বপূর্ণ শিষ্যের দেহভষ্ম ও ব্যবহৃত জিনিস রাখা হতো। এর ওপরের অংশ গোলাকার ও নিচের অংশ চতুষ্কোণাকৃতির। বৌদ্ধ স্তূপের পাশে একটি সুরক্ষা দেয়াল আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব স্তূপে বৌদ্ধধর্মের দর্শনকে ফুটিয়ে তোলার নিদর্শন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ আবিষ্কার প্রথম বলছেন প্রত্নতত্ত্ব সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্নখনন কার্যক্রম পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, ঐতিহ্য অন্বেষণ বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কর্মসূচির কর্মসূচি পরিচালক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন, গবেষণা পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এ আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি। আমাদের নতুন প্রজন্ম অতীত ইতিহাস জানতে পারবে। ভবিষ্যতে তারা ইতিহাসের সঙ্গে মিলিয়ে জীবনযাপন করবে, দেশকে গরবে।