গোপালগঞ্জে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গোপালগঞ্জের সরকারি কৌশলী এড. দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের ২১ নেতা কর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের সরকারি কৌশলী এড. দেলোয়ার এবং তার পিতা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তাদের রাজাকার, পাকিস্তানি দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন। ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি এড. দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৯/৪৭১/৫০০/৫০১/৩৪ ধারায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং সিআর-২১/২০১৯)।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দেয়। সিআইডি দীর্ঘ ২ বছর ১ মাস তদন্ত করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামের নাম মামলা থেকে বাদ দেন। অন্যসব ধারা বাদ দিয়ে শুধু দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (মানহানি) রেখে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান রুহুল কবির রিজভী বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমনে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার বাদি এড. দেলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় আমার বয়স ছিল ১০ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাসহ আমি ও আমার পিতাকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানি দোষর বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করে। পত্রিকায় দেখার পর আমি মামলা করেছি। আজ আদালত সেই মামলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করেছে।