এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২২টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে একটি বিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বাড়তি অর্থ ফেরত এবং ধার্য টাকার রশিদ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন।
তিনি বলেন, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রশিদ ছাড়া এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়নাল হোসেনকে আদায়কৃত বাড়তি অর্থ ফেরত ও ধার্য টাকার রশিদ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ফরম পূরণে ১৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ১৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আমরা অভিযোগ পাই কয়েকটি স্কুল নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে।
এর বাইরে রশিদবিহীন ফরম পূরণের জন্য অর্থ আদায় করেছে কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমাদের কাছে প্রায় ২২টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত ও টেলিফোনে এসেছে। আমরা সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। এটি মূলত নিয়মিত কাজের একটি অংশ। কারণ আমরা সতর্ক না করলে হয়তো কেউ অবৈধ সুবিধা নিতে পারে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।