ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের আরও চার কোটি ডোজ কিনতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আলোচনা চলছে। দেখা যাক কী হয়।’ এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। দুই চালানে সেই চুক্তির ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এর আগে, ভারত থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যা গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্যসচিব রয়টার্সকে আরও জানান, বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন আনলেও আরও ডোজ কেনার ক্ষেত্রে কাদের মাধ্যমে আনা হবে তা এখনো নির্ধারণ করেনি সরকার। বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ অর্ডার করিনি। এখন পর্যন্ত আমাদের অর্ডার তিন কোটি ডোজ। আরও ডোজ অর্ডারের বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
স্বাস্থ্যসচিব রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সমর্থিত অ্যালায়েন্সের মাধ্যমেও ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। জুনের মধ্যেই প্রথম চালানে প্রায় এক কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন আট হাজার ৪৩৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৬৮ জন।
দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জনকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।