রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর-গহিনখালী খালের ওপর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৯ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। পারাপারের অনুপযোগী বলে সেতুটি ২০১২ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুটির বাহেরচর অংশ রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত এবং গহিনখালী অংশ ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের। পাশাপাশি এই দুই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি দুই-তিনবার ভেঙে লোকজন পারাপার বন্ধও হয়ে গিয়েছিল। যে কয়বার এমন ঘটেছে, প্রত্যেকবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুটি মেরামত করা হয়। এলজিইডি বলছে, ১৯৯০ সালে ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ মিটার প্রস্থ এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেতুটির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আগের সেতুটির তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। গাছের গুঁড়ি পুতে তার ওপর কাঠের পাটাতন বিছিয়ে দেওয়া। এর কোনো কোনো জায়গায় কংক্রিটের ঢালাই, লোহার ভিম, পিলার খসে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। লোকজন পারাপারে কোনমতে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সেই ব্যবস্থাও অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ।
বাহেরচর বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, সেতুটির কয়েক জায়গায় পাটাতন ভেঙে গেছে, কোথাও ফাঁক হয়ে গেছে। অবশ্য, এটি দিয়ে অনেক আগ থেকেই যানবাহন চলাচল বন্ধ। কোনমতে নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন পারাপার হয়। সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর দুই পাড়ে বাজার। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাণিজ্যিক কারণ এবং উপজেলা সদরে সহজে যোগাযোগের কারণে সেতুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ (সেতু) প্রকল্পে এই ব্রিজের নাম পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’