রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। লাখ লাখ লোক জানাজায় শরিক হয়েছে। তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছিলেন।
গতকাল শনিবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের ইস্যুগুলো নিয়ে আসা মানে, তারা যে কতটা রাজনীতি শূন্য হয়ে গেছে; দেউলিয়া হয়ে গেছে রাজনীতিতে—এটা তারই প্রমাণ। আজকে আপনাদের দিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন করিয়ে সেই কথাগুলোকে আবার সামনে নিয়ে আসা, এটা হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টামাত্র। প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, মূল জায়গায় আসে না কেন তারা? যে নির্বাচনটা কীভাবে করবেন, আপনি গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করবেন, কীভাবে মানুষের অধিকারগুলো, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন—সেই কথাগুলোর তারা (সরকার) উত্তর দেয় না।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আমি নাকি তার কথার উত্তর দিই না। উনি কি পত্রিকা পড়েন? তার প্রত্যেকটা কথার উত্তর শুধু না, আমরা সঠিক সত্যকে তুলে ধরি সবসময়। উনি বলেছেন, ছবি দেখাতে। কী বলব বলেন এখন? এসব কথার জবাব দিতে গেলে মানহানি মামলা করবেন। সেই ধরনের কথা আমাদের রুচিতে বাধে যে ছবি দেখাতে বলেন, অমুক করতে বলেন।
তিনি বলেন, অযথা উনাকে (জিয়াউর রহমান) নিয়ে টানা, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে টানা এগুলো আমরা করতে চাই না। উনারা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় নেতা। তাদের সেই জায়গাতেই রাখা উচিত। এটা জাতির জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই দুঃখজনক যে এদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যাদের অবদান আছে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা— তাদের সম্পর্কে এই সব নোংরা কথা যখন বলা হয় তখন বুঝা যায় তারা কতটা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাদের কোনো রাজনীতি নেই।