করোনাতে আক্রান্ত হয়ে ৮৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা কিনা শনিবার ছিল ৮০ জন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৪৮ জন। শনিবার তিন হাজার ৪৩৬ জনের সংক্রমণের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তবে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাতে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাতে মৃত্যু ১০০’র নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে মৃত্যু ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৮৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ১৫ জন।
করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হওয়া তিন হাজার ৯৪৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ছয় হাজার ৪৬৬ জন সুস্থ হয়েছে জানিয়ে অধিদফতর জানায় দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেন মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৭ জন।
করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ১৭৭টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৯২১টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে জানিয়ে অধিদফতর জানাচ্ছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৬টি।
করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন আর নারী ৪৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন মোট ১৬ হাজার ৮৯৮ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ১১৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে তিনজন।
গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৮৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের সাতজন, খুলনা বিভাগের নয়জন, বরিশাল বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের ১০ জন, রংপুর বিভাগের পাঁচজন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন দুইজন। যে ৮৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন দুইজন।