ভেজাল চকলেট রাজধানীর পুরান ঢাকায় শতাধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে । সম্প্রতি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হাজারীবাগ এলাকায় ভাগলপুর লেন এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। এসব কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় ওকে পালস সেন্টার ফিলড ক্যান্ডি ওকে কফি ক্যানডি, ওকে মিল্ক ক্যান্ডি লজেন্স, ওকে লুসি ক্যান্ডি, ওকে ম্যাঙ্গো ক্যান্ডি, ওকে টক জাল মিষ্টি ক্যান্ডি নামের বিভিন্ন ব্যান্ডের বিপুল পরিমাণ ভেজাল চকলেট। জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝেমধ্যে অভিযান চালায়। আদালত জেল জরিমানা প্রদান করে। এর কিছুদিন যেতেই আবার চালু হয় এসব কারখানা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে ভেজাল শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী মো. আলম, মো. পারভেজ ও মো. নাসির।
মো. ফজলুর রহমান অভিযান পরিচালনাকারী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার বলেন, বৈধ কাগজপত্র, পেশাদার কেমিস্ট ও ল্যাবরেটরি ছাড়া কেমিক্যালযুক্ত শিশুখাদ্য (চকলেট) তৈরি করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন নামে অবৈধভাবে কেমিক্যালযুক্ত ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল শিশুখাদ্য (চকলেট) উৎপাদন করে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে বিক্রি করতেন। তাদের রয়েছে নিজস্ব এজেন্সি। এসব চকলেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কাপড়ের রং, সাইট্রিক অ্যাসিড ও সোডা।
এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এসব ভেজাল কারখানার মালিকরা সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআই থেকে সার্টিফিকেট নিলেও যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল তার কোনোটি তারা অনুসরণ করে না। নেই কোনো কেমিস্ট, মান পরীক্ষার ব্যবস্থা। তারা নিজেরাই কেমিস্ট, নিজেরাই শ্রমিক। সহকারী কমিশনার মো. ফজলুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে, তারা প্রায় একযুগ ধরে ভেজাল চকলেট, জুস, ললিপপসহ বিভিন্ন শিশুখাদ্য তৈরি করে আসছে। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। স্বল্পকালীন জেল জরিমানা শেষে তারা আবার চালু করে কারখানা।