নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় দলীয় পদ থেকে বাদ পড়া আওয়ামী লীগ নেতারা একটি সভা করেছেন। সভায় অংশগ্রহণকারীরা একে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কয়েক দিন আগে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখতে বলেছিল। এরই মধ্যে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বিরোধী হিসেবে পরিচিত নেতারা এতে অংশ নিলেন।
নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী আগের কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের বাড়িতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন—আগের কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আহম্মেদ, সাবেক ছাত্রনেতা আলাল, চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক চৌধুরী, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, চরফকিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল হক কচি, সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সাইফুল হাসান রনি, সরকারি মুজিব কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূরে-ই মাওলা রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন রিয়াদ প্রমুখ। রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়।