হামলা এবং পরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে । তবে, রাজধানী থেকে বরিশাল নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি বরিশাল পুলিশের। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি নুরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার ঘটনার দিন এবং পরদিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরও আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন ওরফে কালুকে গতকাল শুক্রবার রাতে রুপাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়াও এই ২১ জনের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু এবং বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবুও রয়েছেন। গত বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বাসভবনে হামলার অভিযোগ এনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যেরা। এতে মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হন। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।