এখনো কমেনি করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এতে স্বাস্থ্যগত দিকের পাশাপাশি অর্থনীতিও ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত। মন্দা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা। যদিও সরকার এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। অবশ্য সে প্রণোদনা প্রাপ্তি বা ব্যবহার নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। সরকারের দেওয়া সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি। এ সুবিধা দেওয়ার পরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
ব্যাংকিং খাতে গেল জুন মাস শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬১ ভাগ। তিন মাস আগে অর্থাৎ মার্চ শেষে যা ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ হওয়া ঋণের ৮ দশমিক ০৭ ভাগ। ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। অবশ্য আগের বছরের জুন মাস শেষে মোট বিতরণ হওয়া ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। সে হিসাবে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাত্ জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।