অলিম্পিক মানেই লড়াইটা যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের, তবে দিনশেষে থাকবে আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রেরই হাতে। তবে এবার দৃশ্যটা বদলে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। এইতো শেষের আগের দিনও পদক তালিকার শীর্ষে ছিল চীন। ধারণা করা হচ্ছিল চ্যাম্পিয়নের খেতাবটাও বুঝি এবার যাচ্ছে তাদেরই দখলে।
তবে সব ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ দিনে জিতল তিন সোনা, তাতেই একটি সোনার ব্যবধানে টপকে গেল চীনকে। ফলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে সবার ওপরে অবস্থান নিয়েই প্রতিযোগিতা শেষ করে দেশটি। মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস সরে না দাঁড়ালে হয়তো সংখ্যাটা আরও বাড়তেও পারত। তবে গতবারের চেয়ে সাতটি সোনা কম জিতলেও পারফর্ম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে দেশটির অলিম্পিক কমিটি।
তাদের দখলে গিয়েছে ৩৯টি সোনা, ৪১টি রুপা ও ৩৩টি ব্রোঞ্জ। সর্বমোট পদকের সংখ্যা তাতে দাঁড়িয়েছে ১১৩টি। দুইয়ে থাকা চীনের দখলে সোনা গিয়েছে একটি কম। ৩৮ সোনা, ৩২টি রুপা ও ১৮টি ব্রোঞ্জ নিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছে দেশটি।
আগের আসরে সোনার খেলা হয়েছিল ৩০৭টি। এবার হলো ৩৩৯টির। ঠিক ৩৩৯টিও নয়, ৩৪০টি। হাইজাম্পে যে শীর্ষস্থান গিয়েছে ভাগাভাগি হয়ে, তাতে জোড়া সোনা দিতে হয়েছে সে ইভেন্টে; ১১৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটে এমন ঘটনা। মুতাজ বারশিম আর জিয়ানমার্কো তামবেরির পেয়েছেন পদক দুটো।
এই আসরে আবার চমক হয়েও এসেছেন অনেকে। তাদের একজন মার্সেল জ্যাকবস। অলিম্পিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার দৌড়ে সবাইকে অনেকটা অবাক করে দিয়েই জিতেছেন সোনা।
তবে বরাবরই যেমন হয়ে এসেছে, এবারও বাংলাদেশ ফিরেছে খালি হাতে। তবে আরচ্যারিতে রোমান সানা আর দিয়া সিদ্দিকির পারফর্ম্যান্স ভবিষ্যতে পদক জেতার আশাই দিয়েছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে রোমান তো রীতিমতো কীর্তিই গড়ে বসেছিলেন, প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় জিতে নেন অলিম্পিক নকআউটের ম্যাচ। তবে টোকিওতে অংশ নেওয়া বাকি চার অ্যাথলেট আব্দুল্লাহ হেল বাকি, আরিফুল ইসলাম, জুনাইনা আহমেদ ও জহির রায়হানরা হতাশই করেছেন দেশকে। ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং করেও অবশ্য দুই সাঁতারু আরিফুল ও জুনাইনা বিদায় নিয়েছিলেন হিট থেকেই।