ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ নানা পেশার বেশ কিছু মানুষের জড়িত থাকার অভিযোগ গণমাধ্যমে আসার পর তা তদন্ত করছে সিআইডি। রবিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অনেক ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যানের নাম গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু তারা আদৌ জড়িত কি-না, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ঐসব ব্যক্তিদের নাম আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। পরীমণির সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য আপাতত আমরা কারো নাম বলতে চাচ্ছি না।’
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা গতকাল একসঙ্গে ছয় জন মূল আসামির বাসায় তল্লাশি করেছি। কিছু আলামত ও ডিভাইস উদ্ধার করেছি। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, পাসপোর্ট, মোবাইল, হার্ডডিস্ক এবং ফেরারি গাড়ি জব্দ করেছি। তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি অভিযান।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরীমণি, পিয়াসা, মৌ, রাজসহ প্রত্যেককে জব্দ করা আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্তের এ পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক মানুষের নাম আমরা জেনেছি। তবে তা আমরা যাচাই বাছাই করছি। যাদের নাম এসেছে তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, সত্যিকারের ভিকটিমদের আমরা খুঁজছি। তাদের বক্তব্য আমরা শুনব। তা যাচাই-বাছাই করব। পুরোপুরি সত্যতার ভিত্তিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। পরীমণির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সম্পর্কটা কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যতগুলো মামলা আসছে তার বেশির ভাগই মাদক সংক্রান্ত মামলা। তবে যদি অন্য কোনো বিষয় থেকে থাকে তাহলে আমরা তদন্তের মধ্যে নিয়ে আসব।