অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগার বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের পর আফিফ-সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৫ উইকেটের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। এরপর দলীয় ২১ রানেই ফিরে যান আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপ পরে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে চাপ সামলানোর চেষ্টা চালান সাকিব ও মেহেদী হাসান।
তবে প্রাথমিক চাপ সামলালেও বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন তারা। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩৭ রান। ১৭ বলে ২৬ রান করা সাকিব আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। স্কোরবোর্ডে আর এক রান জমা হতেই ফিরে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৪ বলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন তিনি।
দলীয় ৬৭ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদী (২৩) আউট হলে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাচজয়ী জুটি গড়ে সব শঙ্কা দূর করেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। এ দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা ও আন্ড্রু টাই প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নামা অজিদের শুরুতেই চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান। তার ঘূর্ণিতে মাত্র ১১ রান করে নাসুম আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেক্স ক্যারে।
ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার জস ফিলিপেও। দলীয় ৩১ রানে তাকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে অজি শিবির। মোয়েসেস হেনরিকস ও মিচেল মার্শ গড়ে তোলের ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। অবশ্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই হেনরিকসকে সাজঘরের পথ দেখান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব। তার ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন হেনরিকস (৩০)। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ১১ রান যোগ হতেই ফেরেন মার্শও। আগের ম্যাচের সমান ৪৫ রান করে শরিফুলের বলে আউট হন তিনি।
৯৯ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। পরে সে চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান জমা করতে পারে তারা।
ম্যাচে বাংলাদেশের সফল বোলার মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া শরিফুল ৪ ওভারে ২৭ রানে নেন ২ উইকেট।