ব্যাংক হিসাবে বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা জমা পড়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়ার। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সেই টাকা তুলতে ব্যাংকে গিয়েছিল সে। কিন্তু মেলেনি টাকা। চাচার ঋণের কিস্তি বকেয়া থাকায় তার বৃত্তির চেক আটকে দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রীকে বৃত্তির টাকা দিতে রাজি হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী সানজিদা সুলতানা জয়া তানোরের মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার বাড়ি মুন্ডুমালা পৌর এলাকায়। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে সে।
ওই ছাত্রীর বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, সোনালী ব্যাংক মুন্ডুমালা শাখায় তার মেয়ের নামে ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে। তাতেই বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা জমা হয়। মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি সেই টাকা তুলতে যান।
সোনালী ব্যাংকের মুন্ডুমালা শাখায় তার ভাই আতাউর রহমানের পুরোনো ক্ষুদ্র ঋণ রয়েছে। সেটির কিস্তি বকেয়া থাকায় বৃত্তির টাকা থেকে সমন্বয় করার কথা জানান ব্যবস্থাপক। ওই দিন বাবা-মেয়ে ব্যাংক থেকে বৃত্তির টাকা না পেয়ে ফিরে আসেন। এরপর শনিবার (৩১ জুলাই) মোবাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন তিনি।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মিঠন কুমার দেব জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর চাচা আতাউর রহমানের ঋণ অনেক পুরোনো। সেটির গ্যারান্টার ছিলেন শহিদুল ইসলাম। ঋণ আদায় করার জন্য শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর বৃত্তির চেকটি ব্যাংকে আছে।
জানতে চাইলে তানোরের ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ছাত্রী বৃত্তির টাকা অন্য খাতে কেটে নেওয়ার এখতিয়ার ব্যাংকের নেই। ওই ছাত্রীর বাবার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আমি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ ছাত্রী ও তার বাবাকে ডেকে টাকা দেবেন বলে জানিয়েছেন।