বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নাগরিকদের এই বলে সতর্ক করা হয়েছে যে দেশটিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগামী দিনগুলোতে ‘শোচনীয়’ হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বুধবার (২৩ জুন) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাগরিকরা সরকারের নেয়া কার্যক্রমের সহযোগিতা না করলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শোচনীয় অবস্থায় চলে যেতে পারে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ সেন্টারের লাইন ডিরেক্টর এবং সংস্থাটির একজন মুখপাত্র রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথম থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের মত হলেও গত সাত দিনের পরিসংখ্যান যাচাই করলে দেখা যাবে মৃত্যুর হার এবং সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়েই যাচ্ছে।
এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার এবং সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন আমিন। বিভিন্ন বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভ হওয়ার হার (সাপ্তাহিক পরিবর্তন হার) বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশে, খুলনাতেও প্রায় ৫০ ভাগ, চট্টগ্রামে প্রায় ৪২ শতাংশ আর ময়মনসিংহে ৬১.৯ ভাগ।
এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং হাসপাতালে সেবাদান প্রক্রিয়া স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপ মেনে না চললে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ২২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য রাজধানীকে দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার আশেপাশের ৭টি জেলায় নয় দিনের বিশেষ বিধিনিষেধ বা লকডাউন জারি করা হয়েছে।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজশাহী, সাতক্ষীরা-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় একই ধরনের লকডাউন আরোপ করা হয়েছিলো। খবর: বিবিসি বাংলা।