শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তানভীরের বন্ধুমহল ও সহপাঠীদের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে স্লোগান দিতে দিতে তারা পান্না চত্বর এলাকা হয়ে ১ নম্বর রেলগেট এলাকা প্রদক্ষিণ করে এবং একই স্থানে এসে শেষ করেন। পরে সেখানে তারা সড়কে বসে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নিহত তানভীরের বন্ধু ও সহপাঠীরা বলেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন আমাদের সহপাঠী তানভীর। আমরা তানভীররে জানাজার সময় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য। গতকাল রাতে সেই ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তানভীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসন ব্যর্থ। আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার চাই এবং তাদের ফাঁসি চাই। আজকের মধ্যে তানভীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে আমরা আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃহৎ পরিসরে বিক্ষোভ করবো। যতক্ষণ না এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাচ্ছি আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।
মানববন্ধনে নিহত তানভীরের মা পপি আক্তার বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে হত্যায় কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তির আওতায় না আসে। যারা প্রকৃত দোষী তাদেরই গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই আমি। আমার কোল যারা খালি করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
মানববন্ধনে নিহত তানভীরের সহপাঠী তাহসীন বিন তামিম, জিহান, নবীন, সিয়াম, আরাফাত, প্রভা, তাফসীন, তূর্য, নাফি, রাহাত, শুভ, রিফাত, রূপক, মাহাদি, সাজিদসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, তানভীর হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ী পৌর শহরের বিনোদপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সার্বজনীন দুর্গা মন্দির সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মো. তানভীর শেখকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর নিহত তানভীরের মামা মো. আলম শেখ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত এজাহার নামীয় কাজল (২১) ও রহিম শেখ (৩০) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।