ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর স্বাধীনতা দিবস হলের ৩০২ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থীকে কয়েকজন এসে নিজেদেরকে ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন এই সিট থেকে নেমে যেতে হবে। আজ থেকে ছাত্রদলের রাকিব ভাই থাকবেন। এসময় তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা ও ঘণ্টাব্যাপী বাগবিতণ্ডা হয়। উত্তেজনার একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এই ঘটনার পর প্রোভোস্ট হলে আসলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের রুমগুলো রেড দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে হল প্রোভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে সঙ্গে নিয়ে হলের হলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসময় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল মুমিন বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে বলেছিল তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি পর্যন্ত গঠন করতে পারেনি। আমার এখন প্রশ্ন প্রশাসন কি তাহলে দোষীদের রক্ষার জন্য কাজ করছে?
তিনি আরও বলেন, আমি নতুন ভিসি প্রোভিসি স্যারের কাছে দাবি জানায় এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়। একই সাথে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের রাজনীতির নিষিদ্ধের দাবি জানায়।
তদন্ত কমিটি গঠন কেন করা হয়নি এই প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপাচার্য ও উপপ্রচার্য না থাকায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। আগামী সপ্তাহে শৃঙ্খলা বোর্ডের মিটিং আছে ওই সময় বিষয়টি উপস্থাপন করব, তারপর তদন্ত কমিটি হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, এটা তো আমি যোগদান করার আগের ঘটনা। এজন্য এ বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত নবীনবরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি। হল প্রভোস্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এ রকম ঘটনা যেন না ঘটে।