শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
ইশতেহার বাস্তবায়ন করাই সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইশতেহার বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, অনেক বাধা বিঘ্ন আসতে পারে।’
রাজনীতিতে কেউ সন্ত্রাস বা অস্থিরতা তৈরি করলে তা মোকাবিলা করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলবে। বিরোধীদলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তবে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব কিছুই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছু প্রশাসনিকভাবে, কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। বিরোধীদলকে আমরা রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করব। তবে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করলে, আমরা নিশ্চয়ই জুঁইফুল নিয়ে যাব না।- বলেন কাদের।
এর আগে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২২টিতে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য। গত বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। এরপর তিনি শেখ হাসিনাসহ অন্য সংসদ সদস্যদের একসঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করান। জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরাও শপথ নিয়েছেন। এতে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। যেখানে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।