২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, দেশে করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। গত ২৪ ঘন্টাতে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম তিন জন করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত এই সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়েছে গেছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ হাজার ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৩১ জন। শনাক্তের হার ১২.৫১ শতাংশ। পরীক্ষার সংখ্যাও গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
এর আগে সোমবার করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যান ৯৭ জন। শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৩০৬। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেছে মোট ১১ হাজার ২২৮ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৯।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু : ৭৮
মোট মৃত্যু: ১১ হাজার ২২৮
শনাক্ত : ৩ হাজার ৩১
মোট শনাক্ত : ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৯
নমুনা পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ): ২৪ হাজার ২৩৭ জন
শনাক্তের হার ১২.৫১ শতাংশ
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, সরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন এবং ২৭ জন মারা গেছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া বাসায় মারা গেছেন ২ জন। মৃতদের মধ্যে ৫০ জন রাজধানীবাসী, চট্টগ্রামের ১০ জন। রাজশাহী ও খুলনায় ৬ জন করে, ৩ জন সিলেটের, ২ জন ময়মনসিংহের এবং ১ জন বরিশালের বাসিন্দা।
ঢাকা: ৫০, চট্টগ্রাম: ১০, রাজশাহী: ৬, খুলনা: ৬, সিলেট: ৩, বরিশাল: ১ ও ময়মনসিংহ: ২
মৃতদের মধ্যে ৫৩ জনের বয়স ৫২ এর বেশি। ৫১-৬০ বছর বয়সী ১৫ জন,৪১-৫০ এর মধ্যে ৭ জন। এছাড়া ৩১-৪০ এর মধ্যে ৩ জন।
এছাড়া গেলো ২৪ ঘণ্টাতে পুরুষের মৃত্যুর হার নারীর তুলনায় বেশি। পুরুষ: ৪৫ ও নারী: ৩৩
করোনা থেকে শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৪ জন। করোনাক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া মানুষের মোট সংখ্যা ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।