১৭ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী (৭০)। মৃত্যুকালে পাঁচ ছেলে রেখে গেছেন তিনি। কবরীর সেই পাঁচ ছেলে হলেন-অঞ্জন চৌধুরী, রিজওয়ান চৌধুরী, শাকের ওসমান চিশতি, চিশতী ও শান ওসমান।
কবরীর ব্যক্তিগত সহকারী নূর উদ্দিন জানান, অভিনেত্রীর বড় ছেলে অঞ্জন চৌধুরী অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী। সেখানে তিনি চাকরি করেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে শুরুতে লেখাপড়া করেন অঞ্জন। তারপর এক সময় চাকরি নেন। পরে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। প্রয়াত ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত নায়িকার দ্বিতীয় ছেলে রিজওয়ান চৌধুরীও যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেখাপড়া করেছেন। সেখানে এক সময় চাকরিও করেছেন। তবে পরে সেখান থেকে চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বর্তমানে দেশটির দুবাইয়ে চাকরি করছেন তিনি।
কবরীর তৃতীয় ছেলে শাকের ওসমান চিশতী। তিনি সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ইংল্যান্ডেই বসবাস শুরু করেন। শাকের সেখানে চাকরি করছেন। গত কিছুদিন ধরে অসুস্থ মায়ের পাশে ছায়ার মতো ছিলেন শাকের। সর্বোচ্চ সেবা আর ভালোবাসা দিয়েও মাকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ হয়তো দীর্ঘদিন পোড়াবে তাকে।
নূর উদ্দিন জানান, অভিনেত্রীর চতুর্থ ছেলে চিশতী কানাডা প্রবাসী। তিনি সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে যান। পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীতে সেখানে স্থায়ী হয়ে যান। কবরীর সবচেয়ে ছোট শান ওসমান চিশতী। তার বয়স প্রায় ৩০। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও সবশেষে সিনেমায়। কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়।