গতকাল ম্যাচের আগের দিন ছিল বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন পর্ব। যেখানে দেখা যায়নি কোনো পেসারকে, ছিলেন না তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, ইয়াসির রাব্বিরাও। তবে আজকের ঐচ্ছিক অনুশীলনেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন সাকিব আল হাসান। দুইবারে প্রায় ৩৫ মিনিট নেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
পরে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক নিশ্চিত করে গেছেন, প্রায় সাড়ে চার মাস পর টেস্ট খেলতে নামছেন সাকিব। সবশেষ গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর সবমিলিয়ে সাকিবের খেলা টেস্টের সংখ্যা তিন!
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচেই খেলার কথা রয়েছে সাকিবের। আর সাকিবের মতো জেনুইন অলরাউন্ডার একাদশে থাকা মানেই বাড়তি একজন বোলার নিয়ে খেলতে পারা। রোববার সিরিজের প্রথম ম্যাচের একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে সে পথেই হাঁটছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। জানা গেছে, ছয় ব্যাটারের সঙ্গে সাকিব এবং চারজন বোলার নিয়ে গড়া হবে একাদশ।
ব্যাটিং লাইনআপে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করবেন মাহমুদুল হাসান। তিন নম্বরে নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর যথাক্রমে অধিনায়ক মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। পরীক্ষিত সাত ব্যাটারই থাকতে পারেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে। সেক্ষেত্রে সাকিবের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে ইয়াসির আলি রাব্বিকে।
বোলিং ডিপার্টমেন্টে দুই পেসারের সঙ্গে থাকবেন দুজন স্পিনার। সাকিবের উপস্থিতিতে সাগরিকার রানপ্রসবা উইকেটে পাঁচজন বোলার নিয়ে নামতে পারে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুলের ব্যাখ্যা ছিল, ‘চট্টগ্রামে রান বেশি হয়, বোলারের চাহিদা বেশি থাকে। এটার প্রভাব পড়তে পারে একাদশে।’
সেই অনুযায়ী বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় তাইজুল ইসলাম একপ্রকার অটো চয়েজ একাদশে। মেহেদি হাসান মিরাজ না থাকায় তৃতীয় স্পিনার হিসেবে এগিয়ে থাকবেন অফস্পিনার নাইম হাসান। আজকের অনুশীলনে বোলিংয়ের পাশাপাশি নাইমের ব্যাটিংয়েও বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। এতেই ধারণা করা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর ফের টেস্ট খেলতে দেখা যেতে পারে নাইমকে।
তবে শুক্রবার হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছিলেন, শেষ দিকে এমন একজনকে দরকার, যিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও ১২-১৩ ওভার করে দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য অপশন হতে পারতেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু আজকের ঐচ্ছিক অনুশীলনে কয়েক ওভার হাত ঘোরালেও ব্যাট করতে দেখা যায়নি মোসাদ্দেককে। তাই নাইমের খেলারই সম্ভাবনা বেশি।
পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের অন্তর্ভুক্তি মোটামুটি নিশ্চিত। বাকি থাকা অন্য স্পটের জন্য সম্ভাব্য অপশন দুজন- এবাদত হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। সম্প্রতি দুজনই আছেন ছন্দে, প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। তাই এ দুজনের মধ্যে একজনকে দেখা যেতে পারে একাদশে। যা হয়তো ম্যাচের সকালেই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন/খালেদ আহমেদ।