‘নায়ক কাজী মারুফের ইতিহাস’ সিনেমা দিয়ে ইতিহাস করেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে আগমন । প্রথম সিনেমা দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন তিনি। গানে, গল্পে ও নির্মাণে ‘ইতিহাস’ সিনেমাটি কাজী মারুফ তো বটেই তার ‘আব্বা’ বরেণ্য চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতেরও ক্যারিয়ারেরও অন্যতম একটা সিনেমা।
এবার নাকি ছবিটির সিক্যুয়েল আসতে চলেছে। এমনই ঘোষণা দিলেন ছবিটির নায়ক কাজী মারুফ। আমেরিকা থেকে নায়ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) লিখেছেন, ‘‘ইতিহাস-২’ করার কথা ভাবছি। ইনশাআল্লাহ।’
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কিংবদন্তি নির্মাতা কাজী হায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। মারুফ কখন কি করে সেটা ওই বলতে পারবে। আমি এ মুহূর্তে ‘জয় বাংলা’ সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত আছি।’
‘ইতিহাস’ ছবির সিক্যুয়েল হবে কি না সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি এখনো চিন্তাভাবনা করিনি। আর যদি মারুফ ঘোষণা দিয়ে থাকে তাহলে হয়তো সে নির্মাণ করবে। আমি জানি না। ‘ইতিহাস-২’ নিয়ে কোনো কথা হয়নি মারুফের সঙ্গে।’
২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ইতিহাস’। এই ছবির জন্য কাজী মারুফ শুটিং শুরু করেছিলেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। একই দিনে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনও শুরু হয়। ওই দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন শেষে বিকেল ৫টায় এফডিসিতে ‘ইতিহাস’ ছবির মহরতে অংশ নেন তিনি।
কাজী মারুফ তার প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বাবা কাজী হায়াতের মতো নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু অভিনয় জীবনের শুরুতেই যে কীর্তি তিনি গড়েছিলেন, সেটা বাংলা চলচ্চিত্রের অন্য কোনো নায়কেরই নেই। এই রেকর্ডটি শুধু তারই। অভিষেক ছবি ‘ইতিহাস’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে তিনি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ জিতেছিলেন। ‘ইতিহাস’ দিয়েই ইতিহাস রচনা করেছিলেন এই অ্যাকশন হিরো।
‘ইতিহাস’সহ বাবা কাজী হায়াতের পরিচালনায় কাজী মারুফ মোট ছয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাকি পাঁচটি হচ্ছে- ‘অন্ধকার’, ‘ক্যাপ্টেন মারুফ’, ‘মানিক রতন দুই ভাই’, ‘ইভ টিজিং’ ও ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। এছাড়া অন্য পরিচালকদের পরিচালনায় ‘রাস্তার ছেলে’, ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’, ‘দারোয়ানের ছেলে’, ‘রাজা সূর্য খাঁ’ ও ‘দেহরক্ষী’ ছবিগুলোতে তিনি অভিনয় করেছেন। যদিও সবকিছু ছেড়ে কয়েক বছর ধরে আমেরিকাপ্রবাসী কাজী মারুফ।