চমকের আভাস মিলছিল আগে থেকেই। জন্মদিনে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিক সম্পর্কিত কিছু একটা প্রকাশ পাবে। তবে সেটি পোস্টার নাকি টিজার— তা বলা যাচ্ছিল না।
আরিফিন শুভ ও সিয়াম আহমেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে…’ লিখে কৌতূহলের জন্ম দেন। তারপর থেকে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। তবে আন্দাজ করতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। কেননা, এই দুজন কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর জীবনীচিত্রে অভিনয় করেছেন।
পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট। সেই কলরেডি মাইক। রেসকোর্স ময়দানে হাত নাড়িয়ে চিরচেনা ভঙ্গিতে সমবেত জনতার অভিবাদন গ্রহণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পোস্টারে। গায়ে জড়ানো মুজিব কোট আর সাদা পাঞ্জাবি। তবে ছবির নাম বদলে রাখা হয়েছে— মুজিব: একটি জাতির রূপকার।
সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। তার কাছে জাতির জনকের চরিত্রে অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। শুভর কথায়, ‘আমার অনুভূতির কথা বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়। বাঙালি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার সুখানুভূতি কোনো নিক্তি দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না। পর্দায় জাতির পিতাকে তুলে ধরা সহজ কাজ নয়। তবুও আমি চেষ্টা করেছি। শ্যুটিংয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবসময় নিজের ভেতর তাকে ধারণ করেছি।’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি এটি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের দাদাসাহেব ফিল্ম সিটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার ৮০ ভাগ দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ অংশের শ্যুটিং সম্পন্ন হয়। মূলত, সিনেমাটির শেষ কয়েকটি দৃশ্যের চিত্রায়ণ হয় এখানে। তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরসহ ঢাকার বেশকিছু এলাকায় এবং গোপালগঞ্জে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ করা হয়েছে।
মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। গত বছর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে ২০২২ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুক্তি পেতে পারে।
তবে ছবির কাজ শেষ না হওয়ায় মার্চে মুক্তির পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সরকার। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ঢাকা মেইলকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পোস্ট প্রডাকশন শেষ হলে চলতি বছর মুক্তির দেওয়া হবে সিনেমাটি।