সাম্প্রদায়িক হামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের বাহিনী মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছে।
১৫ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুমা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মাঝেমধ্যে সরকারের সংকটগুলোকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে ফখরুল বলেন। তিনি বলেন, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকালকেও এই বিষয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহিsত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার পেছনে তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন মির্জা ফখরুল। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা প্রমুখ।