ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিলা রাণী দাস দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও বিষয়টি জানে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ১৮ মাস করোনাকালীন বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টম্বর বিদ্যালয় খোলার তারিখেও বিদ্যালয়ে নেই তিনি। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তিনি ছেলে মেয়ে নিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। ১২ সেপ্টম্বর বিদ্যালয় খোলার দিনে ভোলার শিক্ষা প্রশাসন ওই বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে গেলে শিলা রানীর অনুপস্থিতির বিষয়টি ধরা পরে। পরে হাজিরা খাতা তলব করে শিলা রানীর উপস্থিতির ঘরে লাল কলমে অনুপস্থিত (এ্যাবসেন্ট) দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদব চন্দ্র দাস। আগামী ৭ দিনের মধ্যে অনুপস্থিতির বিষয়ে কারন দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে শিলা রাণীকে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদব চন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে শিলা রাণীকে পাওয়া যায়নি। এমনকি হাজিরা খাতায়ও তার কোনো স্বাক্ষর নেই। তাই তাকে ‘এ্যাবসেন্ট’ দিয়েছি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদব চন্দ্র দাস আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট সকল দফতরের অনুমোদন নিতে হয়। শিলা রাণীর এসব অনুমোদন আছে কী না সে ব্যপারে আমি কিছুই জানি না। তবে তার সব তথ্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে থাকার কথা। বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক সেলিম বলেন, ১৮ মাস বন্ধকালীন সময়ে শিলা রাণী সব মাসেরই এমপিও উত্তোলন করেছেন। অথচ ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলা তারিখে তিনি অনুপস্থিত। বিষয়টি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যপারে শিলা রানীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি, তবে তার স্বামী লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভবসিন্দু জানান, চিকিৎসার জন্য কয়েক মাস আগে তিনি ছেলে মেয়ে নিয়ে ভারতে গেছেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কীভাবে তিনি বিদেশ গমন করলেন, এমন প্রশ্নে ভবসিন্দু বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সভাপতি বরাবর তিনি দরখাস্ত করে গেছেন। এ ব্যপারে বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক সেলিম বলেন, শিলা রাণীর কোনো দরখাস্তই বিদ্যালয়ে নেই এবং আমি কিছুই জানি না।