ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও গরম পানি ঢেলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় এক গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তবে ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ শাকিলকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী গ্রামপুলিশ ও তা বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ও ঈশ্বরগঞ্জ থানায়। পরে নির্যাতনের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে রাতেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত বুধবার মোরগ বিক্রির জন্য ভ্যানগাড়ি করে স্থানীয় উচাখিলা বাজারে যায় মনির হোসেনের স্ত্রী রোকসানা খাতুন।
এ সময় পার্শ্ববর্তী মঘা গ্রামের এমদাদুল হকের চায়ের দোকানের সামনে পাইকার মুরগি ক্রয়ের জন্য রোকসানার ভ্যান থামায় এবং দর কষাকষি করে। পরে দোকানের সামনে ভিড় জমে যাওয়ায় এমদাদুল হকের ছেলে গ্রামপুলিশ শাকিল ও রোকসানার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এমন সময় শাকিল দোকান থেকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ও দোকানের চায়ের কেটলিতে রাখা ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে রোকসানার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই গ্রামপুলিশের বেতনভাতা বন্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।