আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে উঠে আসার লক্ষ্য আর বাস্তবায়ন হলো না। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬১ রানে জয়ের পর এ ম্যাচ জিতলে দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথমারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ পেত টাইগাররা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১১৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। ১১৬ রানের জবাব দিতে বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। ৮ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতে আফগানরা।
সফরকারীরা জয় পাওয়ায় দুই ম্যাচ সিরিজ শেষ হলো ১-১ ব্যবধানে। এতে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ল মাহদুল্লাহ-সাকিবদের এ ম্যাচ হারের জন্য যেমন কাঠগড়ায় ব্যাটসম্যানরা, তেমনি সহজ ক্যাচ ছেড়ে সে ব্যর্থতায় সমান ভাগ বসিয়েছেন ফিল্ডাররা। নাসুম আহমেদ, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখরা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন সহজ ক্যাচ। হাফ চান্স হাতছাড়া হয়েছে আরো ২টি। ক্যাচ মিসের মহড়ায় এই ম্যাচ জিততে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি আফগানিস্তানের। হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ফিফটির সঙ্গে দুই ব্যাটসম্যান উসমান ঘানির ৪৭ রানের সুবাদে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিলো আফগানিস্তান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে ব্যাট থেকে কোনো রান নিতে পারেননি মুনিম। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের খেতাব পেয়ে জাতীয় দলের টিকিট পাওয়া এই ওপেনার রানের জন্য হাপিত্যেশ করতে থাকেন, যদিও বাউন্ডারিও পেয়ে যান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। আগের ম্যাচের মতো এদিনও চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন মুনিম। মুনিমের ব্যাটিংয়ের ধরন বেশ ভালোভাবেই পড়ে ফেলেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। ওই চার রানেই প্যাভিলিয়নে মুনিম। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটানো লিটন দাস এদিও ব্যাটিং ঝড়ের বার্তা দেন ফারুকিকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরে। তবে সেই ইনিংসটি বড় করতে পারেননি লিটন। আজমতউল্লাহর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ১০ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি ওই একটিই।
দুই উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৩৩ রান। নাঈম তখনো উইকেটে। সুযোগ পেয়ে আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে উল্টো দলের উপর চাপ বৃদ্ধি হয়। ইনিংসের নবম ওভারের শুরুর বলে করিম জানাতের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সাকিবের ফর্মও পড়তির দিকে। এ ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। আগের ম্যাচে ৬ বলে ৫ করে আউট হয়েছিলেন। আজ সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান। ১৫ বল খরচ করলেও কোনো বাউন্ডারি নেই তার ব্যাটে। শুরুর ১০ ওভারে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মহা বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। যার কারণে বড় কোনো স্কোর করতে পারেনি টাইগাররা।