সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কথা জানান।
৭ নভেম্বর দিবসটিকে বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।
প্রতি বছর এই দিবসের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা সকালে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, ‘৭ নভেম্বর দেশের জনতা এবং সিপাহীরা একত্রিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনর্জ্জীবন ঘটনো দৃঢ় অঙ্গীকারে এবং দেশকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্যে তাবেদার পররাষ্ট্রনীতিতে থেকে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে প্রত্যাবর্তনের জন্য এক দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সেদিন একটি বিপ্লবী সংগঠিত হয়েছিল। সেই বিপ্লবের নেতৃত্বে জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা আধুনিক বাংলাদেশ ও উৎপাদন-উন্নয়নের এক মহান রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি সেদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ও জাতীয় রাজনীতির প্রাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন এবং উদ্ভাসিত হয়ে একের পর এক বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা… যে গণতন্ত্র ’৭৫ সালে আওয়ামী সরকারের হাতে হত্যা হয়েছিল, নিহত হয়েছিল।’